এক দ্শক আগের কথা। বাবা গেছেন আমেরিকা। ত্খ্ন বাবার সাথে কথা বলতে অনেকক্ষণ বসে থাকতাম। বেশি কিছু তখনও বুঝতাম না, খালি মা'র মুখে শুনতাম টিএন্ডটি এক্সচেঞ্জ ব্যস্ত। বাবা আবার কিভাবে যেন আমাদের বাসা নাম্বার চাপলেই ফোন চলে আসত। জিজ্ঞাস করাতে বাবা বললেন, উনি নাকি কি কলিং কার্ড দিয়ে কল দেন। ঐ বয়সে এর বেশী কিছু জানার ইচ্ছা আমার ছিল না।
সেই কলিং কার্ড আমি হাতে পেলাম ২০০৩ এ । তখন বিদেশে কল করতে এটাতেই অনেক সস্তা। বাহ, কি মজা। এদিকে আমরা কম রেটে কথা বলছি আর এদিকে আমাদের টিএন্ডটির অবস্থা কেরোসিন। সরকারের টনক নড়তেই হল তদন্ত, ঘোষণা হল যেহেতু কলিং কার্ড এর কলগুলো টিএন্ডটি এক্সচেঞ্জকে বাইপাস করে কল আদান-প্রদান করে, তাই এটা অবৈধ।
শুরু হল অভিযান। কিন্তু এই অবৈধ ব্যবসায়ীরা থামে না। একদিকে ধরে তো অন্যদিকে নতুন করে গজায়। কেঁচো খুড়তে সাপ বেরুলো। বড় বড় মোবাইল কোম্পানীগুলো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেল। জরিমানা করা হল কয়েকশ কোটি টাকা। ভিওআইপি ব্যবসা কমল, কিন্তু একেবারে শেষ হ্য় না।
এরপর সরকার কয়েকটি কোম্পানিকে লাইসেন্স এর মাধ্যমে ভিওআইপি বৈধ করল। কিন্তু, বাঙ্গালী বলে কথা। এত পয়সা দিয়ে লাইসেন্স নিবে কেন ? এ অবৈধ ব্যবসা এখনো চলছে, বলা চলে অনেকটা বিটিআরসি'র নাকের ডগায়।
ওয়ারিদ এর জাহি নিলাম ২ বছর। এ দুবছর বিদেশ থেকে আমার কাছে অনেক কল এসেছে। কয়েকটা বৈধ পথে, কয়েকটা অবৈধ পথে। যাহোক, বিটিআরসি তে কমপ্লেন করতে গেলে প্রমাণ দিতে হবে, কিন্তু আমার নিজের নিরাপত্তা ও তথ্য গোপনীয়তার কথা ভেবে আর যাই নাই। এক সপ্তাহ আগে আমার কাছে একটা ওয়ারিদ নাম্বার থেকে বিদেশী কল আসে। আমি নিজেকে সুনাগরিক ভেবে কল দেই ৭৮৬ এ কমপ্লেন করতে । ৭৮৬ থেকে উলটা বলা হল, আপনি কিভাবে জানেন এটা ভিওআইপি ? আমি নিজের প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পর্কে তাদের ধারণা দিলাম। এবার উনারা বললেন, এ ধরনের কমপ্লেন উনারা নিতে পারবে না। জিজ্ঞাস করলাম, কে পারবে ? ঊনি বলে, জানিনা। গন্ধ পেলাম আতাঁতের, আমার মেজাজ খারাপ হল, আমি কেটে দিলাম লাইনটা।
পরে খবর নিয়ে দেখলাম এ অবস্থা সব অপারেটর এর।
আমার এক্টাই প্রশ্ন, মোবাইল কোম্পানি - VOIP ব্যবসায়ী সুসম্পর্ক নিয়ে অথোরিটির কোন মাথা ব্যথা আছে কি ?
লেখক - জিবরান মাহমুদ
( একাউন্ট সচল নেই, তাই এভাবে লিখলাম আমার জীবনের প্রথম বাংলা ব্লগ )