Contactless Card and Bangladesh

২০১৭ সালে UK তে Contact less কার্ড জালিয়াতি হয়েছে ৯.৮ মিলিয়ন পাউন্ড , যা চেক জালিয়াতির চেয়েও বেশী। ইউকে তে Contact less লেনদেন প্রতি সীমা ৩০ পাউন্ড। বাংলাদেশ ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডে এ সুবিধা অনুমোদন দিয়েছে লেনদেন প্রতি ৩০০০ টাকা । কিন্তু বাংলাদেশী ক্রেডিট কার্ডে ইউকে এর মত ফ্রড ট্রাঞ্জেকশন প্রটেকশন সুবিধা নেই। সার্কুলার অনুযায়ী আপনাকে এ সুবিধা নিতে বাধ্য করা যাবে না। কিন্তু এ ধরনের লেনদেনে জালিয়াতি হলে আপনার খবর আছে । দেখা যাবে কার্ড বন্ধ করতে করতে ১০০,০০০ টাকা হাওয়া আর টাকা উদ্ধার, মামলা করতে করতে দিন শেষ।

Reference: https://www.mirror.co.uk/money/contactless-payments-safe-your-most-9767071

Meeting a slap provocating doctor

I went to Birdem Women Hospital at Segun Bagicha on 31/07/2015 morning to check if someone can come to our home ( 2 buildings difference) to infuse Saline to my dad. As per mom's advise, I went to emergency room if doctor there can send anyone (on/off duty). I entered in the room of the doctor after giving reference. The on duty doctor, Shaheda/Shaila, was busy with he mobile. Sister gave my mom's reference  to her. Still she said she won't talk over phone without reason. Considering the situation, I requested her to talk. She just said "Ajob" and threw her own phone on that phone with a pissed off mood. Mom described the situation over phone and requested a personal help as a colleague. She denied saying that she cannot help and none working there can do off duty works. Then I managed Saline infusion from somewhere else. 

Point: The behavior she shown can provoke anyone to get angry/rude on her. She who cannot help a professional colleague in emergency and refuse rudely, can never be positioned in such vulnerable posts. People can never be rude with a smiling/well behaved person. The way that lower class doctor behaved is worth provoking and it is her good luck that I was still smiling. Someone in my position would just give her a slap. Hospitals should have a service quality department to check service. Being a banker, we have to behave well with customers others regulatory body or our SQ department will take action against us. Moreover, our livelihood come from these customers. One cannot only blame patients(customers) for behaving unruly. Please check first whether your one is okay or not and remember, customer is the king.

Massive consumer lending: Is credit card threat to struggling Bangladesh economy?

It has been more than a decade that financial institutions (FI) and banks in Bangladesh are selling credit cards in mass level. For an emerging economy like ours, credit cards play a vital role for changing lives of commoners. Being a vanilla product in banking term, credit card is easy to get, collateral free with an interest rate higher than regular consumer lending rates; in some cases almost double. A family can fulfill their dream of buying household goods and pay back in their convenient installment amount and tenor. However, since all banks and FIs are in aggressive lending for credit cards due to high profit margin, it is easier for a person to get credit cards from more than one bank, in some cases 4-5 banks. This extra credit facilities sometimes lures customers to spend more than his affordability. During this time when our economy is struggling for maintaining a consistent GDP, such spending by mass people may pose a threat to banking sector. Customers with such spending nature tend to take more loans to set off their previous loans and at one point they default. Customers use their credit cards for their day to day activity and when they fail to repay, banks try to offset this loss by interest rates hike, imposing other fees and penalties. Such method to recover loss may not work all the time and banks’ profitability will be at risk always. For a country like ours, any hit in banking sector will have impact on economy. And for this, it is high time for quality credit lending. Banks should ensure that their customers are not overburdened and over exposed.  Bangladesh Bank can play a major role by introducing reporting of credit cards in Credit Information Bureau (CIB) reports and instructing all banks to download CIB report before any credit card lending. Introduction of existing credit card reporting is not that easy since it is a time consuming process and involves rearranging bank's database and in many cases banks may not have all the information required for reporting. But it needs to be started so that before making a credit decision banks/FIs can get to know customers’ existing credit exposure. It is not necessary that a good borrower with good credit history or a customer with good socio-economic background will repay credit card dues regularly. All we need is to ensure quality while lending such collateral free products and to monitor continuously after that. We cannot let our economy to fall into credit card debt crisis just for our faulty business decisions.

A leader to remember

Everyone has an aim to be a leader in his/her lifetime, irrespective of the age. During my internship in Standard Chartered Bank Securities Services, I came to know the then head of the department Mr. Dutta. During my three months internship (rather I would say it as introduction to the corporate world), I have learnt so many things from him. He is a leader with different capacities. I remember his words “learning through mistakes” whenever he revealed big mistakes. Unlike so called interns or today’s corporate world, I received special treatment from the whole department just because he wanted us to be empowered, to take ownership of what we did; even if it was the smallest input. I used to have a separate email ID which I think is very rare now. I never felt that I was an intern during those 3 months. I have been serving at a local bank for around 3 years but I miss a leader like him. None can imagine a boss sparing his team mate for first 3 hours of a specific weekday for finishing her masters. I hardly saw him saying anything to an employee taking sick leave (usually managers “discourages” sick leave now). There were no vacancy on that time of my internship or else I would have tried my best to work under his leadership.

Mr. Dutta hails from a reputed family in Chadpur and very much well known in the securities market. He is pioneer to SWIFT and Non-Resident Investor’s Taka Account (NITA) in Bangladesh.

I still miss my internship and I miss being his team mate. I don’t know whether I will get any further opportunity to serve under his guidance but I would love to if I get any. He is indeed a human manager, not a robotic one.

বন্যা

"সে যে বসে আছে একা একা রঙিন স্বপ্ন তার বুনতে ……………."

পূর্বাচল নতুন শহরের ৩০০ ফিট রাস্তায় গাড়ীতে গান বাজছে আর জামিল আপন মনে গান শুনছে। ক্রিং ক্রিং...... মোবাইলে ম্যাসেজ এল। “ Reached Safely. Hope you are fine. “  জামিলের দীর্ঘদিনের বন্ধু বন্যার পাঠানো ম্যাসেজ। একসাথে স্কুলে ৫ বছর পড়াশুনা। পরে জামিল নটরডেমে চলে আসে। তারপর আবার ৫ বছরের যোগাযোগ বিরতি।বছরখানেক আগে ফেসবুকের কল্যাণে আবার যোগাযোগ হয়। তারপর কতবার বন্ধুদের আড্ডায় দেখা হয়। জুলাইয়ের ১০ তারিখ এম আই টি তে মাস্টার্সের জন্য চলে যায় বন্যা। অফিসের কাজের চাপে ঠিক মত বিদায়টাও দেয়া হয়নি বন্যাকে। অবশ্য সে নিজেও যেতে চায়নি এয়ারপোর্টে। ক্রিং ক্রিং...... আবার ম্যাসেজ এল। “ Please be on skype on 7 pm in your local time “  আজকে কেন জানি জামিলের স্কাইপে যেতে ইচ্ছে করছে না। বন্যাকে ভাল লাগা তার স্কুল থেকেই। কিন্তু কলেজে উঠার পর আর যোগাযোগ করা হয়ে উঠেনি। গত বছরখানেক ধরে বেশ কয়েকবার দেখ হওয়ার পরো কেন জানি জামিল তার মনের কথাটি বলতে পারেনি। মনের কোণে অজানা শঙ্কা সবসময় যে যদি বন্যা ‘না’ করে দেয়। সেই ‘না’ শোনার জন্য জামিল হয়তো প্রস্তুত নয়। ‘কিন্তু যে করেই হোক আজ মনের কথা বন্যাকে জানাব’, মনে মনে ভাবল জামিল । সন্ধায় জামিল বাসায় এল। যথারীতি তার স্কাইপে বসল। বন্যাকে অনলাইনে দেখে জামিল কল দিল। তার গল্প আর গল্প। গল্পে মসগুল বন্যাকে হঠাৎ বলে বসল, ‘ বন্যা তোকে আমার ক্লাস সেভেন থেকে পছন্দ। ভেবেছিলাম কলেজে উঠলে বলবো কিন্তু আর  বলা হয়নি। আমাদের যে কয়েকদিন দেখা হয়েছে, প্রতিবারই ভেবেছি বলবো কিন্তু কেন জেন বলতে পারিনি। জানিনা তুই কিভাবে নিবি কিন্তু আমি তোকে অসম্ভব পছন্দ করি।‘ বন্যা চুপ করে রইল মিনিটখানেক........................।।  ‘ভাইয়া, গাড়ী কি এখান থেকে ঘুরাবো ?” ড্রাইভার আল-আমিন বলল। কল্পনার জগতের থাকা জামিল হতচকিয়ে উঠে বলল “ হুমমম... “ । গাড়ী এবার চলছে কংক্রিটের জংগলের দিকে।আর জামিল মনে মনে ভাবছে ‘কেন যে দেশে থাকতেই বন্যাকে মনের কথাটা বললাম না। মনে হয় বড্ড দেরী হয়ে গেল’ 

পহেলা বৈশাখের আনন্দ ( আমার ব্যাটম্যান হওয়া )

তিতীর্ষার সাথে দুই  দিন ধরে ঝগড়া। কলহের আপেল হল, মাত্রারিতিক্ত ভাবস। ওর ভাবের বাতাসে আমি নিজেই সপ্তম আসমানে উঠে যাই। যাই হোক, চৈত্র সংক্রান্তির দিন ভাবলাম, ভাব নিয়া লাভ নাই, আমিই ওরে ফোন দেই, নইলে আমার পুরা বৈশাখই মাটি। দিলাম ফোন ... ... অনেকক্ষণ পর ম্যাডাম ধরলেন। বিসমিল্লাহ হইল ঝাড়ি দিয়া। আমিও কম যাই না ... কান থেকে নামায় রাখলাম ফোন টা, একটু পর ফোন উঠাতেই দেখলাম বলতেছে,বুঝছো আমার কথা ?? আমি বললাম , হুমমম ( যদিও কিছুই শুনি নাই ) । যাই হোক , অনেক বুঝানোর পর বুঝলো। আবার উল্টা বলে, আমি কত প্ল্যান করসি তোমার সাথে কাল ( ১৪ এপ্রিল ) ঘুরবো, আর তুমি !! ন্যাকামিগুলো সহ্য না হলেও ঢোক গিললাম।  যাই হোক , কথা মত আমার কাজ হল উনাকে পহেলা বৈশাখ সকাল সাড়ে ছয়টায় উঠাতে হবে । মহা কঠিন কাজ ! কাজের বাস্তবায়ন করতে আমার দুইটা মোবাইলের এলার্ম সেট করলাম ৫-৪৫ এ । শত হোক, ডিউটি ( !! ) তো দেরি করা যাবে না ।

সকালে একটা ফোনের এলার্মে ঘুম ভেঙ্গে গেল । শুরু হল উনাকে ডাকার পথচলা। একদিকে রেডি হই, আবার একটু পর এসে ফোন দেই। এভাবে ২০ বার ফোন দিলাম। অবশেষে পৌনে সাতটায় কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাংলো। ওপাশ থেকে প্রথম কথা, ক’টা বাজে ? বললাম , পৌনে সাতটা । জবাব এল, আসার সময় বেলি ফুলের মালা নিয়ে আসবা । শুনতেই আকাশ থেকে পড়লাম। ম্যাডাম থাকেন ধানমন্ডি সাতাশ এ। ওকে বললাম, তুমি একটু আগায় আসলেই তো হয় !! বলতে না বলতেই ... ফাইজলামি পাইসো ?? হয় তুমি আসবা, নইলে আমি ফোন রাখলাম।

অগত্যা কি আর করা। তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে বের হলাম। পুরানা পল্টন থেকে রিকশা পাচ্ছি না । হেটে গেলাম শিল্পকলা । পথে মানূষের কোলাহল দেখে ভালোই লাগছিল। আবার মনের আকাশে মেঘ, ... বেলী ফুলের মালা ... অবশেষে শিশু পার্কের সামনে পেলাম মালা। কি মালা জানি না, দেইখাই বললাম , ২ টা দাও। মালা নিয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম । আবার হাটা শুরু। এত সকালেও সহস্র মানুষের ভিড় ঠেলে আগানো দায়। তারপরও হাটতে এলিফ্যান্ট রোডের কাছে গিয়ে রিকশা নিলাম। যাক বাবা শান্তি ।রিকশাওয়ালা চালাচ্ছে সজোরে। মেঘলা আকাশ, বাতাস চারিদিকে, ভালোই লাগছিল । ১৫ মিনিট পর পূর্ব কথা মত নান্দুস এর সামনে গিয়ে ফোন দিলাম। ওপাশ থেকে, এতবার ফোন দেয়ার কি আছে ? আমি তো রেডি হচ্ছি !! আমি বললাম, না, মানে তোমার জন্য মালা আনসি । ... ... ও তাই !!, আমি আসতেসি।

১০ মিনিট পর আসল। লাল শাড়ি পড়া। ভালোই লাগছিল তাকে। মালা এগিয়ে দিতেই, এটা বেলী ফুলের মালা ?? ( রাগে লাল হয়ে গেল ওর চেহারা )। আমি বললাম, এত কিছু জানি না, সামনে যা পাইছি, আনছি ।বলেই সামনের দিকে হাটা দিলাম। ও  দেখি গড়গড় করে কিছু একটা বলার পর বলল ... ... ...  ... ... চলবে

বিচিত্র এ দেশ , বিচিত্র এ দেশের মানুষ

২ দিন আগে অনিলা কে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে অফিসে আসছিলাম। ড্রাইভার না আসাতে মেজাজ এমনিতেই খারাপ, তার উপর আবার জ্যাম। রেডিও টা ছাড়লাম গান শুনতে। দেখি খবর শুনাচ্ছে । “ লিবিয়া তে যৌথ বাহিনীর সারারাত ব্যাপী বিমান হামলা .........” । উফফফ !! আর ভালো লাগে না। চারিদিকে এত গন্ডগোল । এই তো সকালেই তো পেপারে পড়লাম আরো শ’খানেক বাংলাদেশির ফেরত আসাএ খবর । আচ্ছা, এ মানুষগুলো লাখ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশ যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হয় দালালের খপ্পরে পড়ে অথবা চুক্তি মোতাবেক চাকরি/ সুবিধা পায় না। এ মানুষেরা আমাদের রেমিট্যান্স তথা অর্থনীতির চালিকাশক্তি। কিন্তু অনেককেই প্রচুর দেনা-পাওনা করে বিদেশ যেতে হয়। অনেকে পাওনা মিটাতে পারে – অনেকে হয়ে যায় নিঃস্ব। এই টাকা টা যদি দেশে খাটিয়ে ব্যবসা করা যেত তাহলে তারা অনেকেই স্বনির্ভর হতেন প্রিয়জনদের কাছে থেকেই, আবার অনেকের চাকরির যোগানও দিতে পারতেন এই ব্যবসা থেকে।

লিবিয়ায় থেকে প্রত্যাগত এ মানুষগুলো সে সব মানুষদেরই অংশ যারা প্রিয়জনদের থেকে হাজার মাইল দূরে থাকে প্রিয়জনদের মুখে হাসি ফুটাবার জন্য । এই দূর্যোগময় মুহূর্তে যখন প্রিয়জনদের মুখে উৎকন্ঠা আর নিজের মুখে নিরাপত্তার শংকা , তখন কি দয়া করে তারা এবং যারা এখনও বিদেশের মোহে আছেন, দয়া করে কি আরেকবার নিজের সিদ্ধান্তটি বিবেচনা করবেন ? নিশ্চয়ই প্রিয়জনের পাশে থেকে, নিজের দেশে থেকে অর্থ উপার্জনের যে শান্তি, তা নিশ্চয়ই বিদেশে পাবেন না !!