রবিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১০

আবহমান বাংলার দিনলিপি - এক ভণ্ডপীরের ধর্মকথা

সম্পূর্ণ সত্য ঘটনা। গোপনীয়তা রক্ষার্থে নাম পরিবর্তিত

পুরানা পল্টনে গ্র্যান্ড আজাদ হোটেল থেকে কিছুটা দূরে কুদ্দুস নামে এক নামকরা পীর থাকেন। এই পীর অবশ্য মানুষ খারাপ না।পথে ঘাটে যার সাথে দেখা হয় তাকেই কুশলাদি জিজ্ঞাসা করেন। তাছাড়া ওয়াজ-নসিহত তো আছেই।প্রায়ই ঢাকার বাইরে যান তিনি।
এমনিতে তো ভালোই জানতাম।ভাবতাম লোকটা মনে হয় ভালো।কিন্তু ধীরে ধীরে তার রূপ বুঝতে পারলাম। এই পীরের কন্যা একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি তে পড়ে আর ছেলে বাবাজি সারাদিন টই টই করতে করতে বুড়া বয়সে এসে ও লেভেল দিলো।সব ধান্দাবাজি। ওয়াজে গিয়ে বলে বাচ্চাদের ধর্ম শিক্ষা দিতে আর নিজের বাচ্চারে পড়ায় বিদেশী মাধ্যমে। এই লোকের ধান্দাবাজি চরমে উঠছে যখন দেখি যে সে তাই মেয়ের প্রেমিক কে জামাইরূপে বরণ করে। এর চেয়ে বড় কথা এর মেয়ের বিয়েতে বাঙ্গালীয়ানার শতভাগ উপস্থিত ছিল।এমনকি গায়ে হলুদের দিন রাত তিনটা পর্যন্ত জোরে গান বাজিয়ে নাচানাচিও হয়েছে।এই লোক এই রমজানে টিভিতে এসে রমজান সম্পর্কে জ্ঞান দেয়। সেদিন দেখি এটিএন নিউজে বলছে, মানুষ লাখ লাখ টাকার শাড়ী কিনে , কতো আজেবাজে খরচ করে। তার এ কথা শুনে তখন আমার আসলেই মনে হয়, এগুলো আসলে ধর্ম ব্যবসায়ী। টাকার জন্য ওয়াজ ও করতে পারে আবার টাকার লোভে নারীদের প্রধানমন্ত্রী বানাতে দোয়াও করতে পারে। আবার পরে এরাই এসবকে হারাম বলে।

আমার নীতি হল আপনি আচরি ধর্ম শিখাও অপরে ।আমরা ভাই ধর্ম মোটামুটি মানার চেষ্টা করি, সাথে সাথে হালের সভ্য কালচারের সাথে মানিয়ে চলি। আর এরা, নিজে ধর্ম নিয়ে জ্ঞান দেয় আর বাংলা সংস্কৃতি কে গালি দেয় আর নিজের ঘরে বাংলা কেন, সাথে বাকি সবগুলাও পালন করে । ধিক এসব ভণ্ডপীরদের !!

এই এক-দুইজনের জন্য সবাইকে খারাপ বলার ইচ্ছে আমার নেই। আপনার ধর্মগুরু অনেক ভালো হতে পারে। আমি ভন্ডামীর উদাহরণ দেখালাম মাত্র।

একইসাথে প্রকাশিত - সামু , লেখকের ফেসবুক ও ব্লগ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন